চন্দননগরের আলোকসজ্জায় সরকারী প্রকল্প এর প্রচার : নতুন ভাবনা আলোক শিল্পীর

29th September 2021 10:09 pm হুগলী
চন্দননগরের আলোকসজ্জায় সরকারী প্রকল্প এর প্রচার : নতুন ভাবনা আলোক শিল্পীর


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : সামনে শারদীয়া উৎসব, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজো। যাদের কাজ মুগ্ধ করেছে উৎসবের আগত মানুষদের। সেটা হচ্ছে চন্দননগরের ইলেকট্রিক লাইট।তার করিশমা  দেখার জন্য উৎসুক হয়ে থাকে শুধু শহর কলকাতা নয়, সারা বঙ্গবাসী। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে আলোর করিশমা দেখতে উৎসুক হয়ে থাকে চন্দন নগরের মানুষ। কিন্তু শহর কলকাতা এবং কলকাতার বাইরে  চাহিদা থাকে  দুর্গাপূজোর সময়। চন্দননগরের আলোকশিল্পী বাবু পাল লাইটের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে ফুটিয়ে তুলেছেন। যেমন দুয়ারে সরকার,স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষী ভান্ডার সহ বিভিন্ন  প্রকল্পকে আলোকসজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। শুধু চন্দননগর, কোলকাতা নয় অনান্য রাজ্যেও দেখা যাবে আলোকসজ্জা দাবি শিল্পীর। কিন্তু বিগত এক বছর করোনা মহামারির কারণে কাজ থেকে বিমুখ হয়ে ছিল তারা। কারন সেই ভাবে পুজো বা যোগনদার কেউ  ছিল না। তাই এক প্রকার নিজেদের বিশ্বস্ত কর্মচারীদের নিয়ে আলোক সজ্জার কাজ চালিয়ে গেছেন চন্দননগরের আলোকশিল্পী ।  এবছর সেই ভাবে মানসিক প্রস্তুতি,অর্থ বা নৈতিক পরিকাঠামো সেই ভাবে ছিল না । এবারে অলিম্পিকে পাখির চোখ করলেও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গুলিকে তুলে ধরেছেন তিনি । তবে প্রত্যাশা যে পরিমাণ ছিল তা অনেকটাই কমেছে, কারণ কাজ কমেছে। এইভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে আলোক সজ্জার কেরামতি  হারিয়ে যাবে চন্দননগর থেকে বলে দাবি আলোক শিল্পীদের।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।