সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : সামনে শারদীয়া উৎসব, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজো। যাদের কাজ মুগ্ধ করেছে উৎসবের আগত মানুষদের। সেটা হচ্ছে চন্দননগরের ইলেকট্রিক লাইট।তার করিশমা দেখার জন্য উৎসুক হয়ে থাকে শুধু শহর কলকাতা নয়, সারা বঙ্গবাসী। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে আলোর করিশমা দেখতে উৎসুক হয়ে থাকে চন্দন নগরের মানুষ। কিন্তু শহর কলকাতা এবং কলকাতার বাইরে চাহিদা থাকে দুর্গাপূজোর সময়। চন্দননগরের আলোকশিল্পী বাবু পাল লাইটের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে ফুটিয়ে তুলেছেন। যেমন দুয়ারে সরকার,স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষী ভান্ডার সহ বিভিন্ন প্রকল্পকে আলোকসজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। শুধু চন্দননগর, কোলকাতা নয় অনান্য রাজ্যেও দেখা যাবে আলোকসজ্জা দাবি শিল্পীর। কিন্তু বিগত এক বছর করোনা মহামারির কারণে কাজ থেকে বিমুখ হয়ে ছিল তারা। কারন সেই ভাবে পুজো বা যোগনদার কেউ ছিল না। তাই এক প্রকার নিজেদের বিশ্বস্ত কর্মচারীদের নিয়ে আলোক সজ্জার কাজ চালিয়ে গেছেন চন্দননগরের আলোকশিল্পী । এবছর সেই ভাবে মানসিক প্রস্তুতি,অর্থ বা নৈতিক পরিকাঠামো সেই ভাবে ছিল না । এবারে অলিম্পিকে পাখির চোখ করলেও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প গুলিকে তুলে ধরেছেন তিনি । তবে প্রত্যাশা যে পরিমাণ ছিল তা অনেকটাই কমেছে, কারণ কাজ কমেছে। এইভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে আলোক সজ্জার কেরামতি হারিয়ে যাবে চন্দননগর থেকে বলে দাবি আলোক শিল্পীদের।